শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩০ ভাদ্র ১৪৩১

পর্যটকশূন্য পারকি সমুদ্র সৈকত

প্রকাশিতঃ ৬ নভেম্বর ২০১৯ | ১১:৩৩ অপরাহ্ন


আনোয়ারা প্রতিনিধি : আনোয়ারা পারকি সৈকতে মৌসুমেও দেখা মিলছে না পর্যটকদের। পর্যটক না থাকায় অনেকটা শূন্য হয়ে পড়েছে পারকি সমুদ্র সৈকত। শুধু মৌসুমেই নয়, সারা বছর ধরেই পর্যটকের আনাগোনা কমছে পারকি সৈকতে। ভ্রমণে অব্যবস্থাপনা, পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধার অভাব, দর্শনীয় এলাকাজুড়ে আকর্ষণীয় কিছু গড়ে না তোলাসহ নানা কারণেই ভ্রমণপিপাসুদের আকৃষ্ট করতে পারছে না পারকি সমুদ্র সৈকত।

পারকি সৈকত দেখার ভীষণ আগ্রহ রয়েছে পর্যটকদের। প্রতি বছর শীত মৌসুমের শুরুতে পর্যটকদের ভিড় জমে পারকি সৈকত এলাকায়। কিন্তু এবার পর্যটকদের আনাগোনা খুবই কম, নেই বললেই চলে। মৌসুমের এই সময়ে যেখানে পর্যটকদের ঢলে হিমশিম খেতে হতো পারকি এলাকার ভাসমান দোকানিদের, আর এখন সেই সময়ে তাদের অলস সময় কাটছে।

পারকি এলাকার ব্যবসায়ী সোহেল শাহ্ জানান, স্বল্প সংখ্যক যে পর্যটক আসছেন পারকি সৈকতে তাদের মুখেও রয়েছে নানা অব্যবস্থাপনা ও সুযোগ-সুবিধা না থাকার বিষয়গুলো।

সৈকতে আসা পর্যটকেরা অভিযোগ করে বলেন, পারকি সমুদ্র সৈকতে এখন একবার কেউ আসলে দ্বিতীয়বার আসতেই চান না। এর কারণ হলো দীর্ঘদিনেও এখানে আকর্ষণীয় কোনো ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়নি, আনা হয়নি কোনো নতুনত্ব। তাছাড়া আগে যে কটা দোকানপাট ছিল তাও এখন উচ্ছেদ করা হয়েছে।

আটকে পড়া জাহাজ ক্রিস্টাল এর কারণে সৈকতের চরে জমে গেছে কাঁদা-মাটি, ঝাউগাছগুলো নিধন করা হয়েছে। সব মিলিয়ে পারকি সমুদ্র সৈকতের যে একটা অপার সম্ভবনা ছিল তা এখন বিলুপ্তির পথে। দীর্ঘদিন ধরে একই অবকাঠামো ও নতুন কোনো আকর্ষণ সৃষ্টি করতে না পারায় দিনকে দিন পর্যটকের সংখ্যা কমছে বলে জানিয়েছেন পর্যটন এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা।

ঘুরতে আসা গণমাধ্যমকর্মী ইমরান ইমি বলেন, অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধার অভাবে এখানে এসে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় বিশেষ করে নারী ও শিশুদের। তবে অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা গেলে পর্যটকদের আকৃষ্ট করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন তিনি।

এই প্রসঙ্গে আনোয়ারার সামাজিক সংগঠন ‘সারা আনোয়ারা’র প্রধান পৃষ্ঠপোষক আবদুল মালেক চৌধুরী বলেন, সৈকতে ভ্রমণের সুব্যবস্থা, আকর্ষণীয় অবকাঠামো নির্মাণ, দর্শনার্থীদের বিশ্রামের ব্যবস্থা করা গেলে পর্যটকদের আগমন ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাবে। সেজন্য সরকারকে অবশ্যই এ পর্যটন শিল্পের প্রতি নজর দিতে হবে। তাছাড়া সৈকতের চরে যে হারে কাঁদা মাটি এসে জমাট হচ্ছে তাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে শীঘ্রই চর বিলুপ্ত হয়ে যাবে এবং সৈকতে থাকা ঝাউ বাগানগুলো রক্ষা করা না গেলে সৌন্দর্য হারাবে পারকি সমুদ্র সৈকত।

একুশে/জিআ/এএ