সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বাদলের অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে চান বাদলপত্নী

| প্রকাশিতঃ ২৩ নভেম্বর ২০১৯ | ১১:২৯ অপরাহ্ন


হিমাদ্রী রাহা : প্রয়াত সাংসদ মাইন উদ্দীন খান বাদলের অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে চান তার স্ত্রী সেলিনা খান বাদল।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে স্নেহ করেন। বাদল সাহেব মারা যাবার আগের তিন বছর উনার অসুস্থতাজনিত কারণে চট্টগ্রাম ৮ সংসদীয় এলাকা আমিই দেখাশুনা করতাম। নিয়মিত এলাকায় যেতাম, এখনো যাই। তাছাড়া এলাকার জনগণের সাথে আমার ভালো সম্পর্ক । প্রধানমন্ত্রী আমাকে স্নেহ করেন। তিনি যদি মনে করেন আমাকে মনোনয়ন দেবেন, তো আমি বাদল সাহেবের অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করবো।

সম্প্রতি একুশে পত্রিকাকে দেয়া চট্টগ্রাম ৮ আসনের উপ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রসঙ্গে বিশেষ সাক্ষাৎকারে একুশে পত্রিকাকে এসব কথা বলেন প্রয়াত সংসদ সদস্য মইন উদ্দিন খান বাদলের স্ত্রী সেলিনা খান বাদল।

তিনি বলেন, বাদল সাহেব আমাকে শিখিয়েছেন যে জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। নেতাভিত্তিক রাজনীতি বাদ দিয়ে জনমুখী রাজনীতিই আসল নেতার কাজ। উনি সবসময় বলতেন, সুখে-দুঃখে জনগণের পাশে থাকাই প্রকৃত জনপ্রতিনিধির কাজ। মনোনয়ন পেলে আমি সে কাজটাই করবো।

মোছলেম উদ্দিন আহমেদ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। উনি চাইতেই পারেন মনোনয়ন। আর চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম উনিও চাইতে পারেন মনোনয়ন। উনিতো একবার মনোনয়ন পেয়ে গিয়েছিলেনই। কিন্তু জোট থেকে প্রার্থী দেয়ার সিদ্ধান্তের কারণেই পরে তা বাতিল হয়। সেক্ষেত্রে ছালাম সাহেবের মনের ঈশান কোণে হয়তো দুঃখ থাকলেও থাকতে পারে যে মনোনয়ন পেয়েও তা দলীয় সিদ্ধান্তের কারণে ছেড়ে দিতে হয়েছে। নেত্রী মোছলেম উদ্দিন বা ছালাম সাহেব যাকেই বাদল সাহেবের আসনটি দেন না কেন আমি অবশ্যই উনাদের সাথে থাকবো।

মইন উদ্দিন খান বাদলের স্মৃতিচারণ করে সেলিনা খান বাদল বলেন, বাদল সাহেব সারাজীবন শুধু দিয়েই গেছেন। কখনই বৈষয়িক ছিলেন না। নিজ এলাকার জন্য সরকার থেকে যা পেতেন তাই তিনি জনগণের জন্য উজাড় করে দিতেন। আমার ছেলেমেয়েদেরও কখনো নিজের ক্ষমতার ছায়ায় বড় করেননি।

একদিনের ঘটনা বলি, আমার ছেলে ফ্লাইটে একবার ভিআইপি সুবিধা নিতে চাইলো। সাথে সাথে আমার মেয়ে বলে উঠলো , ভাইয়া কেন ভিআইপি সুবিধা নেবে? ও তো এমপি না। ভিআইপি সুবিধা নেবে বাবা। কারণ উনি এমপি। উনার ছেলেমেয়েরা এমন সুবিধা কেন নেবে? বোনের এমন নিষেধে সে আর ভিআইপি সুবিধা নেয়নি। এমনটাই ছিলো আমাদের পারিবারিক শিক্ষা। যোগ করেন বাদলপত্নী।

বাদল সাহেব কখনো কোনো কেনাকাটা করতেন না। আমিই উনার জুতা পাঞ্জাবী থেকে শুরু করে সবকিছুই কেনাকাটা করতাম। এমপি হিসেবে একটা মাসিক সম্মানী পেতো উনি। তার পুরোটাই আমার হাতে তুলে দিতেন । আর আমি তা সময়মতো সংসারের নানা কাজে খরচ করতাম। রাজনীতি করতে গিয়ে সংসারে খেয়াল না রাখলেও তাঁর মতো স্বামী বর্তমানে খুবই বিরল। আমার সন্তাদের কাছে তিনি ছিলেন বীরের মতো।

সেলিনা খান বাদল আরও বলেন, জীবিত মইন উদ্দীন খান বাদল-এর চেয়ে মৃত মইন উদ্দীন খান বাদল অনেক বেশি শক্তিশালী। সারাজীবন তিনি নিজেকে লোভ লালসার উর্ধ্বে রেখেছিলেন। দুর্নীতি ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন আমৃত্যু।

চট্টগ্রাম ৮ আসনের মনোনয়ন ও মইন উদ্দীন খান বাদল প্রসঙ্গে যা বললেন তাঁর স্ত্রী সেলিনা খান বাদলবিস্তারিত….https://youtu.be/a1wgvrRYeCA

Gepostet von একুশে পত্রিকা – Ekushey Patrika am Freitag, 22. November 2019

একুশে/এইচআর/এটি