পাবনা : শামসুর রহমান শরীফ ভূমিমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। মেয়ে মাহজাবিন শিরিন পিয়া ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান। তার স্বামী আবুল কালাম আজাদ মিন্টু ঈশ্বরদী পৌরসভার মেয়র। মন্ত্রীপুত্র সিহান শরীফ তমাল ঈশ্বরদী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি। আর ছোটভাই আনিস শরিফ লক্ষ্মীকুণ্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
এরপরও দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হতে চান শামসুর রহমান শরীফের মেয়ে মাহজাবিন শিরিন পিয়া। এ জন্য সোমবার দুপুরে পাবনা জেলা প্রশাসক রেখা রানী বালোর কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।
এর আগে ঈশ্বরদী উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান থেকে পদত্যাগ করেছেন শিরিন। বর্তমানে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ও ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
এদিকে মন্ত্রীকন্যা শিরিনের মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর স্থানীয় আওয়ামী লীগে নিন্দার ঝড় উঠেছে। তাদের প্রশ্ন, ‘এক পরিবার থেকে আর কত চান? আর কত পেলে তারা ক্ষান্ত হবেন?’
মাহজাবিন পিয়া শিরিনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার বিষয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ও দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্ত রেজাউল রহিম লাল সাংবাদিকদের বলেন, দেশের সব নাগরিকের নির্বাচন করার অধিকার রয়েছে। তবে কেউ দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গেলে দল তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
জেলা আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক সরদার মিঠু আহমেদ বলেন, দলীয় শৃঙ্খলার বাইরে গেলে তার দায় তাকেই নিতে হবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পাবনা সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স বলেন, “আমরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চেষ্টা করব কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী যাতে না থাকে। তারপরও যদি কেউ নির্বাচনে অংশ নেন তাহলে দল তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”
নির্বাচনে অংশ নেওয়া সম্পর্কে মাহজাবিন শিরিন পিয়া বলছেন, তিনি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের মাঠে থাকবেন। নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার জন্যই আমার জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানান তিনি।
তিনি বলেন, “আমি শিক্ষাজীবন থেকে রাজনীতি করছি। ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে আজকের এই অবস্থান সৃষ্টি করেছি। বাবা-চাচা বা কারও দানে আমি এ অবস্থানে আসিনি। নিজ যোগ্যতায় এই অবস্থান সৃষ্টি করেছি।”