বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২

একের পর এক লাগেজ গায়েব বিমানবন্দর থেকে

| প্রকাশিতঃ ১০ মার্চ ২০২২ | ৮:১৭ অপরাহ্ন


মোহাম্মদ রফিক : গত ২৩ ফেব্রুয়ারি লন্ডন থেকে দুবাই হয়ে দেশে আসেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক চঞ্চলা দাশ। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার পর ইমিগ্রেশন শেষ করে বেল্টে দেওয়া তার দুটি লাগেজ খুঁজছিলেন। দীর্ঘ অপেক্ষার পর লাগেজ না পেয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ‘লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড’ বিভাগে অভিযোগ করেন তিনি। তিন-চার ঘণ্টা এ দপ্তরে থেকে ওই দপ্তর ঘুরলেও তার লাগেজের কোন সন্ধান দিতে পারেননি বিমানবন্দরের কোন কর্মকর্তা।

অবশেষে হতাশ হয়ে গ্রামের বাড়ি সিলেট ফেরেন চঞ্চলা দাশ। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চঞ্চলার লাগেজ খোয়ানোর এমন অভিজ্ঞতা একবার নয়, এর আগেও দুইবার লন্ডন থেকে দেশে ফিরে লাগেজ খুইয়েছেন চঞ্চলা। গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র থাকায় বিমানবন্দরে গিয়ে হারানো লাগেজের জন্য একাধিকবার ধরনা দেয়ার পর এখন আশা ছেড়ে দিয়েছেন চঞ্চলা দাশ।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরেন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট ফরিদার পাড়ার বাসিন্দা আবুল কালাম। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার দুটি লাগেজ খোয়া যায়। লাগেজের খোঁজে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে যান তিনি। আবুল কালাম বলেন, ‘আমার খোয়া যাওয়া দুটি লাগেজের একটি পেয়েছি। আরেকটি খোঁজ দিতে পারেনি ‘লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড বিভাগ’। ওই লাগেজে আমার মূল্যবান জিনিসপত্র ছিল।’

গত ২২ ফেব্রুয়ারি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুটি লাগেজ হারানোর বর্ণনা দিয়ে কাতার প্রবাসী হাটহাজারীর গড়দুয়ারা গ্রামের আবদুল মান্নান একুশে পত্রিকাকে বলেন, ‘সেদিন বিমানবন্দরে নেমে কনভেয়র বেল্টে এক ঘণ্টা খোঁজাখুঁজি করেও দুটি লাগেজের হদিস পাইনি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা লস্ট ব্যাগেজ সেকশনে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন। আমি অভিযোগ দিয়ে বাড়িতে চলে এলাম। পরদিন ‘লস্ট এন্ড ফাউন্ড’ বিভাগে ফোন করলাম। কিন্তু সদুত্তর নেই। ওপাশ থেকে বলা হয়, “লাগেজ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।” এভাবে ১৪ দিন পার হয়ে যায়। লাগেজ আর পাইনি।’

ভুক্তভোগী ফটিকছড়ি কাঞ্চননগর এলাকার বাসিন্দা দুবাই প্রবাসী ইদ্রিস হায়াত বলেন, ‘গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে দুবাই থেকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করি। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করে আমার একটি লাগেজ পাইনি। সেদিন হতাশ হয়ে বাড়ি চলে আসি। তিনদিন পরে ‘লস্ট এন্ড ফাউন্ড’ বিভাগে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি, ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে ছোট বড় মাঝারি সাইজের শতাধিক লাগেজ। বিমানের এক কর্মকর্তা সেখান থেকে আমার লাগেজটি খুঁজে নিতে বললেন। প্রায় এক ঘণ্টা তন্ন তন্ন করে খুঁজলাম, কিন্তু লাগেজ পেলাম না। এসময় বিমানের স্টেশন ম্যানেজার আমাদের সঙ্গেই ছিলেন। কিন্তু তিনিও আমার লাগেজের খোঁজ দিতে পারেননি।’

এদিকে ১৩ বছর পর গত ২৮ জানুয়ারি সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরেন নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার রাকিব নামে এক যুবক। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে লাগেজ বেল্ট থেকে তার একটি লাগেজ হারানোর ঘটনা ঘটে। পরের দিন সিসিটিভি’র ফুটেজ দেখে সাড়ে ৭ লাখ টাকার চেকসহ তার লাগেজটি উদ্ধার করে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ। পরে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়ানের ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়ে বিষয়টি জানানো হয়।

গত ১ মার্চ দোহা থেকে কাতার এয়ার ওয়াজের ৬৩৮ নং ফ্লাইটে শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করেন হাটহাজারী সদর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল করিম। আজ মঙ্গলবার তিনি একুশে পত্রিকাকে জানান, তার দুটি লাগেজেরই ট্যাগ লাগানো ছিল। কিন্তু শাহজালাল বিমানবন্দরে নামার পর লাগেজ পাচ্ছিলেন না। এক সপ্তাহ পর একটি পেলেও যে লাগেজে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র রয়েছে সেটি আজও পাননি।

এর আগে গত ২৪ জানুয়ারি সকালে নিউইয়র্ক থেকে কাতার এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে হজরত শাহজালাল (রা.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমে লাগেজ কাটা পান পান চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার বাসিন্দা এবাদুর রহমান। লাগেজে থাকা তার মূল্যবান মালামাল খোয়া গেলেও দীর্ঘ ভ্রমণের কারণে ক্লান্ত থাকায় কোন অভিযোগ না করেই বিমানবন্দর থেকে চলে আসেন গ্রামের বাড়িতে।

শুধু চঞ্চলা, এবাদুর, রাকিব বা করিম নন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীদের লাগেজ না পাওয়া এবং কাটা ছেড়া লাগেজ পাওয়া কিম্বা লাগেজ থেকে জিনিসপত্র খোয়া যাওয়ার অভিযোগ বিমানবন্দরে এখন নিত্য দিনের ঘটনা।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, হজরত শাহজালাল (রা.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে লাগেজ হয়রানি চরমে পৌঁছেছে। এ থেকে বাদ যাচ্ছেন না সাধারণ যাত্রী থেকে ভিআইপিরাও। যাত্রীরা প্রতিনিয়ত এই বিমানবন্দরে লাগেজ হয়রানির শিকার হচ্ছেন। পাশাপাশি বিমানযাত্রীদের লাগেজ থেকে গায়েব হয়ে যাচ্ছে মূল্যবান সামগ্রী। কিন্তু এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নির্বিকার।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস’র ‘লস্ট এন্ড ফাউন্ড’ বিভাগের কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান জানান, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রতিদিন যাত্রীদের ১০০ থেকে ১৫০ লাগেজ খোয়ার ঘটনা ঘটছে। তবে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে লাগেজ খোয়ার ঘটনা খুবই কম বলে দাবি করেছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস’র চট্টগ্রাম স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম। গতকাল রাতে তিনি একুশে পত্রিকাকে বলেন, ‘শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে লাগেজ প্রতিনিয়ত মিসহ্যান্ডেল হচ্ছে। কারণ এই বিমানবন্দরে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ উড়োজাহাজ ল্যান্ড করে। যাত্রীও হাজার হাজার। কে কোন দিকে কি করছে তা বোঝা মুশকিল। তবে চট্টগ্রামে লাগেজ মিসিং বা মিসহ্যান্ডেল হওয়ার ঘটনা খুবই কম। বছরে দুই-তিনটা ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত যাত্রীকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়।’

ভুক্তভোগীদের প্রশ্ন, বিমানবন্দরের ভেতরে সিভিল অ্যাভিয়েশন, বিমান ও বিভিন্ন সংস্থার লোকজন থাকে, তাদের নাকের ডগায় লাগেজ হারানো বা মালামাল খোয়া যায় কীভাবে? কেউ ভুল করে লাগেজ রেখে যেতে পারে, সেটি ফেরত পাওয়ার জন্য ‘লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড’ শাখা রয়েছে। কিন্তু সেখানে অভিযোগ করেও লাগেজ পাওয়া যায় না।

পুলিশ ও গোয়েন্দাদের তথ্যমতে, ইতিপূর্বে লাগেজ গায়েব বা মালামাল চুরিতে বিমানের কর্মীরা জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। এ চক্রে জড়িত বিমানের লোডার শামীম হাওলাদার, লাভলু মিয়া, ট্রাফিক হেলপার নজরুল ইসলাম, মনিরুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ ও আমিরুল ইসলাম, মামুনুর রশিদ, দীপক কুমার স্যানাল ও নাজমুল হুদা, মান্নান, জয়নাল, মোস্তাফিজুর রহমানসহ ২০-২৫ জনের একটি চক্র। ইতিপূর্বে তাদের অনেকে সিআইডি এবং এপিবিএন’র হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন। তবে তাদের অনেকেই এখন চাকরিচ্যুত। আবার অনেকে আইনি ফাঁক দিয়ে জামিনে বের হয়ে বিমানবন্দরে ফিরেছেন। তাদের ওপর নজরদারি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শাহজালাল বিমানবন্দরে সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমগীর।

সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, লাগেজ চুরিতে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও আছে একটি চক্র। ২০২০ সালে লাগেজ চুরি এবং লাগেজ থেকে চোরাই সোনা কেনার অভিযোগে বিমানের নিরাপত্তা সহকারী মহিউদ্দিন আহমেদ, ট্রাফিক শাখার সহকারী (হেলপার-লোডার) রফিকুল ইসলাম, বন্দরটিলা লোকার অন্তরঙ্গ জুয়েলার্সের মালিক চন্দন ধর ও তার ছোট ভাই কৃষ্ণা জুয়েলার্সের মালিক বন্ধন ধরকে গ্রেফতার করে সিআইডি তারা সবাই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ‘এয়ার ট্রাফিক হেলপার’।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, বিমানবন্দরের ‘লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড’ বিভাগে সিসি ক্যামেরাসহ সেখানে সার্বক্ষণিকভাবে লোক থাকে। তবু সেখান থেকে প্রায় প্রতিদিন লাগেজ খোয়ার ঘটনা ঘটছে। বিমানবন্দর-সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা জানান, চক্রের সদস্যরা যাত্রীবেশে লাগেজ চুরির জন্য সবসময় তৎপর থাকে। তারা ক্যাটারিং গেট দিয়ে বেল্টের ওপর দিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়ে। তাদের সঙ্গে থাকে ভুয়া পাসপোর্ট, বিমানের টিকেট ও হ্যান্ডব্যাগ। সাধারণত যে লাগেজটি অনেকবার ঘোরার পরেও কেউ তুলে নেয় না বা যেই লাগেজের প্রতি টার্গেট থাকে, সেটি নিয়ে কৌশলে সটকে পড়ে। কখনও বিমানের ক্যাটারিংয়ের ভেতর দিয়ে প্রবেশ করে যাত্রী সেজে। কখনও বিদেশফেরত যাত্রীবেশে। কখনও স্টিকার পরিবর্তন করে লাগেজ চুরি করে তারা।

বিমানবন্দর সূত্র জানায়, বিমান থেকে লাগেজ বেল্টে দেওয়ার আগ মুহূর্তে লাগেজ কেটে মূল্যবান মালপত্র সরিয়ে ফেলা হয়। যাত্রীদের জানানো হয়, লাগেজ আসেনি। বলা হয়, পরবর্তী ফ্লাইটে আসবে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ‘পরবর্তী ফ্লাইটে’ লাগেজ এলেও তা আর প্রকৃত মালিকের কাছে পৌঁছানো হয় না। লাগেজে দামি মালপত্র থাকলে জানানো হয়, ওই লাগেজে অবৈধ মালপত্র এসেছে। গোয়েন্দারা লাগেজের মালিককে খুঁজছে। এ ধরনের মিথ্যা বলে আতঙ্কের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয় যাত্রীদের। এমন পরিস্থিতিতে অনেক যাত্রীই লাগেজের আশা ছেড়ে দেন।

প্রসঙ্গত, খুঁজে না পাওয়া লাগেজের জন্য সর্বোচ্চ ২০ কেজি মালামালের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। যাত্রীরা প্রতি কেজিতে ক্ষতিপূরণ পান ২১ ডলার। আর তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়া হয় ৫০ ডলার। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এপিবিএনের অতিরিক্ত এক পুলিশ সুপার নাম প্রকাশ না করে একুশে পত্রিকাকে বলেন, ‘লাগেজ কাটার অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে তদন্ত করে দেখা হয়। ক্ষতিগ্রস্ত যাত্রীদের অভিযোগ অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হয়। লাগেজ লোডিং আনলোডিং যেখানে হয় সেখানে নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।’

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ‘লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড’ বিভাগ জানায়, প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০টি লাগেজ হারানোর অভিযোগ আসে। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতিদিন শতাধিক লাগেজ ফিরিয়েও দেওয়া হচ্ছে যাত্রীদের। খুঁজে না-পাওয়া লাগেজের জন্য সর্বোচ্চ ২০ কেজি মালামালের ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়। এছাড়া ভিন্ন হিসেব রয়েছে ফিরিয়ে দেওয়া মালামালের। অনেক সময় যাত্রীর খোয়া যাওয়া লাগেজে তেমন কিছুই থাকে না। কিন্তু অভিযোগ করার সময় খোয়া যাওয়া লাগেজে ‘দামি মালামাল ছিল’ বলে মিথ্যা দাবি পেশ করে প্রাপ্যের বেশি ক্ষতিপূরণ আদায় করেন অনেকে।

জানা গেছে, বিমানবন্দরে লাগেজ চুরি এবং লাগেজ কেটে মালামাল চুরিতে বেবিচক, বিমান ও বিভিন্ন সংস্থার চক্র জড়িত। ওই চক্রের সদস্য শতাধিক। কিছুদিন পর পর ধরাও পড়ছে তারা। তারপরও থামেনি লাগেজ বা মালামাল চুরি। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এপিবিএন’র এক কর্মকর্তারা জানান, বিমানবন্দরে যাত্রীদের লাগেজ কাটা, চুরি থামানোর সব চেষ্টা আছে। অভিযুক্তরা বিমানবন্দর অথবা এয়ারলাইন্স কর্মী।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তৌহিদুৃল আহসান বলেন, ‘কোন যাত্রীর লাগেজ কেটে মালামাল নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটলে তদন্ত করে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জড়িতদের চিহ্নিত করা হয়।অনেক সময় যে বিমানবন্দর থেকে যাত্রী যাত্রা শুরু করেন সেখানেও নিরাপত্তার স্বার্থে লাগেজ কেটে তল্লাশি করা হয়।’