বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২

‘অ্যানালগ’ স্বার্থের কাছে জিম্মি ডিজিটাল বিচার?

শরীফুল রুকন | প্রকাশিতঃ ২৯ অক্টোবর ২০২৫ | ১১:২৮ পূর্বাহ্ন


এই প্রতিবেদকের সাথে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া চৌকি আদালতের বারান্দায় কথা বলার সময় ষাটের কোঠায় পা রাখা মীর আহমদের জীবনটা আটকে আছে আদালতের এক ঘাত প্রতিঘাতে। অবসরপ্রাপ্ত এই স্কুলশিক্ষক নিজের কেনা জমির স্বত্ব ঠেকাতে মামলা লড়ছেন ৭ বছর ধরে। গত সেপ্টেম্বরে শেষবার যখন হাজিরা দিতে এসেছিলেন, আদালতের কর্মচারীরা জানিয়েছিলেন, মামলার মূল নথিটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

“নথি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না”—এই তিনটি শব্দ কেবল মীর আহমদের ব্যক্তিগত ট্র্যাজেডি নয়। বরং চট্টগ্রাম, পটিয়া ও সাতকানিয়া চৌকি আদালত প্রাঙ্গণে মাসব্যাপী সরেজমিন অনুসন্ধানে এই প্রতিবেদক দেখেছেন, এটি দেশের বিচার ব্যবস্থার অ্যানালগ বা সনাতন পদ্ধতির রন্ধ্রে রন্ধ্রে থাকা অস্বচ্ছতা ও হয়রানির এক জীবন্ত প্রতীক।

এই পটভূমিতেই ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সংস্কারের “গোল্ডেন আওয়ার”-এ বিচার বিভাগের ঘুরে দাঁড়ানোর আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়। এই আকাঙ্ক্ষার কেন্দ্রে রয়েছে ‘ডিজিটাল রূপান্তর’—এমন একটি ব্যবস্থা, যেখানে প্রযুক্তির মাধ্যমে মীর আহমদের মতো লক্ষ লক্ষ বিচারপ্রার্থীর প্রতিটি নথির হিসাব থাকবে, প্রতিটি তারিখ নির্দিষ্ট হবে এবং বিচার হবে স্বচ্ছ। কিন্তু এই ডিজিটাল সংগ্রাম কি কেবল সফটওয়্যার বা হার্ডওয়্যার কেনার সংগ্রাম? নাকি এটি একটি পুরনো, অস্বচ্ছ ব্যবস্থাকে ভেঙে স্বচ্ছতা আনার সংগ্রাম? প্রধান বিচারপতি, সংস্কার কমিশন এবং আইন কমিশনের ডজনখানেক প্রতিবেদন ও সুপারিশমালা পুঙ্খানুপঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করে এই অনুসন্ধানটি সেই অদৃশ্য দেয়ালটিকেই খতিয়ে দেখেছে।

ডিজিটাল স্বপ্ন: ‘সংস্কার কমিশন’ ও ‘প্রধান বিচারপতির রোডম্যাপ’

সঙ্কট উত্তরণে বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে একটি সুস্পষ্ট ও সমন্বিত রূপকল্প ঘোষণা করা হয়েছে। এই সংস্কারের তাত্ত্বিক ভিত্তি রচনা করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কর্তৃক গঠিত ‘বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন’।

বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত এই কমিশন, যার অন্যতম সদস্য ছিলেন ‘মাসদার হোসেন মামলা’ খ্যাত মো. মাসদার হোসেন, আমাদের হাতে আসা ৩৫২ পৃষ্ঠার সেই বিশদ প্রতিবেদনে একটি পূর্ণাঙ্গ ই-জুডিসিয়ারি ব্যবস্থা প্রবর্তনের সুপারিশ করে। এর মধ্যে রয়েছে সকল আদালতের জন্য একটি কেন্দ্রীয় ডেটাবেস তৈরি, পেপারলেস কোর্ট চালু এবং বিচারিক প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপকে ডিজিটালাইজড করা।

এই তাত্ত্বিক ভিত্তিকে বাস্তব রূপ দিতেই প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাঁর ঘোষিত ‘জুডিশিয়াল রিফর্ম রোডম্যাপ’-এ প্রযুক্তিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি ২০২৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বর তাঁর মূল অভিভাষণে এবং পরবর্তীতে খুলনা ও ময়মনসিংহসহ দেশজুড়ে দেওয়া বিভিন্ন ভাষণে স্পষ্ট করেছেন যে, সংস্কারের তিনটি স্তম্ভের একটি হলো “কার্যকরী দক্ষতা”, যার মূল চাবিকাঠি হলো প্রযুক্তি। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বক্তৃতায় বিচার ব্যবস্থাকে রূপক অর্থে ‘ষাঁড়ের গাড়ি’ হিসেবেও অভিহিত করেছেন।

এই রূপকল্পকে আইনি ভিত্তি দিতে ‘বিচার কার্যক্রমে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার আইন, ২০২২’-এর একটি খসড়াও এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। সব মিলিয়ে, কাগজে-কলমে একটি ডিজিটাল বিপ্লবের সম্পূর্ণ নকশা প্রস্তুত।

সংকট কতটা গভীর

এই ডিজিটাল রূপান্তর কেন কোনো বিলাসিতা নয়, বরং অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই—তা বোঝার জন্য তাকাতে হবে মামলার জটের ভয়াবহ পরিসংখ্যানের দিকে।

সুপ্রিম কোর্টের গত দেড় দশকের বার্ষিক প্রতিবেদনগুলো সংগ্রহ ও ডেটা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সংকটটি কেবল পুরনো নয়, এটি ক্রমবর্ধমান। সুপ্রিম কোর্টের অভ্যন্তরীণ শাখার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সাল শেষে দেশের সকল আদালতে মোট মামলার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৫ লাখ ১৬ হাজার ৬০৩টি।

এই সংখ্যাটি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে যখন আমরা প্রবণতাটি দেখি। বার্ষিক প্রতিবেদন ২০০৮-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮ সালে হাইকোর্টে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ছিল ২,৭২,৫৪৭টি। অর্থাৎ, দেড় দশকে শুধু হাইকোর্টেই জট প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। ২০০৭ সালে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের সময় মোট মামলা ছিল ১৫ লাখ ৭০ হাজার, যা এখন তিনগুণ হয়েছে। এই পরিসংখ্যানই প্রমাণ করে, প্রচলিত অ্যানালগ পদ্ধতিতে এই “মামলার পাহাড়” সরানো অসম্ভব।

আইন কমিশনের একাধিক প্রতিবেদন, বিশেষ করে ২০১৫ সালে প্রকাশিত “আদালতে মামলা জট: কারণ ও সমাধানের সন্ধানে” শীর্ষক প্রতিবেদনে এই জটের কারণ হিসেবে সনাতন পদ্ধতিকেই দায়ী করা হয়েছে। মামলার নথি ব্যবস্থাপনা, সমন জারি এবং অপ্রয়োজনীয় সময় প্রার্থনার যে সনাতন সংস্কৃতি, তা-ই এই জটের মূল কারণ।

নির্দেশনা কাগজে-কলমে, বাস্তবে অনীহা

এই প্রতিবেদকের অনুসন্ধানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফলাফলটি এখানেই: যদি সমাধান প্রযুক্তির হাতেই থাকে, তবে তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না কেন? আমাদের অনুসন্ধান বলছে, এই ডিজিটাল সংগ্রামের অনেক সমাধানই নতুন নয়। এগুলো কাগজে-কলমে বিদ্যমান, কিন্তু বাস্তবতায় উপেক্ষিত বা ‘কাগুজে বাঘ’-এ পরিণত হয়েছে।

এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ আমাদের হাতে আসা সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের নিজের জারি করা একটি সার্কুলার। গত ৭ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখে রেজিস্ট্রার জেনারেলের স্বাক্ষর করা একটি সার্কুলার দেশের সকল আদালতে পাঠানো হয়।

এই সার্কুলারের ২ নং দফায় খোদ সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনই স্বীকার করছে যে, “…অত্র কোর্ট কর্তৃক নির্দেশনা প্রদান করে সার্কুলার জারি করা হলেও উক্ত নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করা হচ্ছে না।” এটি একটি বিস্ময়কর প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকারোক্তি। দেশের সর্বোচ্চ বিচারিক প্রশাসনের নির্দেশনা যদি অধস্তন আদালতগুলোতেই পালিত না হয়, তবে সেই ব্যর্থতার দায় কার? কেন সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনা অমান্য করেও পার পাওয়া যাচ্ছে?

একই স্থবিরতা দেখা যায় আইনি কাঠামোর ক্ষেত্রেও। ‘বিচার কার্যক্রমে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার আইন, ২০২২’-এর খসড়াটি প্রস্তুত হওয়ার দীর্ঘদিন পরেও কেন তা চূড়ান্ত আইন হিসেবে পাস হচ্ছে না, সেই প্রশ্নেরও কোনো সদুত্তর আইন মন্ত্রণালয় বা সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেও পাওয়া যায়নি।

একইভাবে, করোনাকালীন সময়ে চালু হওয়া ভার্চুয়াল কোর্টের ‘প্র্যাকটিস নির্দেশনা’ বহাল থাকলেও, অনেক আইনজীবী ও বিচারকের মধ্যেই তা নিয়মিত ব্যবহারে ব্যাপক অনীহা দেখা যায়। প্রশ্ন হলো, যে প্রযুক্তি সময় ও অর্থ সাশ্রয় করে, তার প্রতি এই অনীহার কারণ কী?

বাধা প্রযুক্তি নয়, স্বার্থের ‘অদৃশ্য দেয়াল’

নির্দেশনা কেন মানা হচ্ছে না? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়েই এই অনুসন্ধানের মূল বাধার চিত্রটি স্পষ্ট হয়। বাধাটি প্রযুক্তিগত নয়, অনুসন্ধানে এটি স্পষ্ট যে, বাধাটি পুরোপুরি মানবিক এবং স্বার্থসংশ্লিষ্ট।

প্রথমত, সাংস্কৃতিক প্রতিরোধ। আদালত প্রাঙ্গণে একাধিক আইনজীবীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, বিচার ব্যবস্থার সাথে জড়িত একটি বড় অংশ, যার মধ্যে আইনজীবী ও বিচারক উভয়ই আছেন, তারা সনাতন বা অ্যানালগ পদ্ধতিতে এতটাই অভ্যস্ত যে, যেকোনো পরিবর্তনেই তারা শঙ্কিত বোধ করেন। গত ২৮ এপ্রিল, ২০২৫-এ বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) আয়োজিত এক মতবিনিময় সভার কার্যবিবরণী পর্যালোচনা করে দেখা যায়, খোদ বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনেরই সদস্য, আইনজীবী তানিম হোসেইন শাওন, এই অনীহার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি উল্লেখ করেন, অনেক বিচারক “প্রশিক্ষণ” শব্দটিতেই অপমানিত বোধ করেন। এই ‘মানসিকতা’ ডিজিটাল সংস্কারের পথে একটি বড় সাংস্কৃতিক বাধা।

দ্বিতীয় এবং সবচেয়ে বড় বাধাটি হলো ‘স্বার্থের সংঘাত’। নিম্ন আদালতের সেরেস্তা ও বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মচারী ও ভুক্তভোগী বিচারপ্রার্থীদের সাথে কথা বলে এই ‘স্বার্থের সংঘাতে’র এক ভয়াবহ চিত্র পাওয়া গেছে। ডিজিটাল সিস্টেমের অর্থ হলো স্বচ্ছতা। প্রতিটি ফাইলের অবস্থান, প্রতিটি তারিখের আদেশ, প্রতিটি লেনদেন—সবকিছু অনলাইনে দৃশ্যমান থাকবে।

আর এই স্বচ্ছতাই সনাতন সিস্টেমের “সুবিধাভোগীদের” স্বার্থে সরাসরি আঘাত করে। চট্টগ্রামের নারী আইনজীবী নুসরাত জাহান মনে করেন, এই অস্বচ্ছ অ্যানালগ ব্যবস্থাটি নারী বিচারপ্রার্থীদের জন্য বিচার প্রক্রিয়াকে বহুগুণ জটিল ও ব্যয়বহুল করে তোলে। তিনি বলেন, “মোহরানা, খোরপোশ বা পারিবারিক সম্পত্তির মতো মামলাগুলোতে নারীরা এমনিতেই সামাজিকভাবে দুর্বল অবস্থানে থাকেন। যখন মামলার নথি ‘খুঁজে পাওয়া যায় না’ বা একটি তারিখ পেতেও অসাধু চক্রকে ‘স্পিড মানি’ দিতে হয়, তখন সেই নারী বিচারপ্রার্থীর পক্ষে লড়াই চালিয়ে যাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। এই অস্বচ্ছ সিস্টেমটিই কিছু অসাধু আদালত কর্মচারী এবং সুবিধাবাদী আইনজীবীদের অনৈতিক আয়ের প্রধান উৎস, এবং এই চক্রটিই ডিজিটাল সংস্কারের পথে সবচেয়ে বড় ‘অদৃশ্য দেয়াল’।”

যে অ্যানালগ সিস্টেমে মীর আহমদের মামলার নথি “খুঁজে পাওয়া যায় না”, সেই অস্বচ্ছ সিস্টেমটিই—আইনজীবী নুসরাত জাহানের ভাষায়—নারী বিচারপ্রার্থীদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হয়। ডিজিটাল রূপান্তর বাস্তবায়নের প্রধান বাধাই হলো সুবিধাভোগীদের এই “অদৃশ্য দেয়াল”—যারা কোনোভাবেই চান না এই সনাতন ব্যবস্থার অবসান হোক।

এই অনুসন্ধান, অর্ধশতাধিক নথিপত্র এবং মাঠপর্যায়ের পর্যবেক্ষণ বিশ্লেষণ করে এটি স্পষ্ট যে, বাংলাদেশের বিচার বিভাগ একটি ডিজিটাল বিপ্লবের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে আছে। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ এবং বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমানের নেতৃত্বাধীন সংস্কার কমিশনের রূপকল্প স্পষ্ট। মামলার জটের পরিসংখ্যান (বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২২ অনুযায়ী শুধু হাইকোর্টেই ৫ লক্ষাধিক) এই সংস্কারকে অপরিহার্য করে তুলেছে।

কিন্তু এই সংস্কারের সাফল্য নির্ভর করছে একটি বিষয়ের ওপর, যা প্রযুক্তির চেয়েও শক্তিশালী—সেটি হলো ‘ইচ্ছা’।

এই সংগ্রামের মূল কথাটিই বলেছেন সংস্কার প্রক্রিয়ার অন্যতম পুরোধা মো. মাসদার হোসেন। তাঁর মূল্যায়নে, সংস্কারের প্রধান বাধা হলো “মানসিকতা”। ডিজিটাল সংস্কারের এই লড়াইটি সেই মানসিকতা বদলানোর চূড়ান্ত পরীক্ষা।

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ নিজে এই চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে সচেতন। তিনি গত ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫-এ বরিশালের ভাষণে যে প্রত্যয় ঘোষণা করেছিলেন, তা হলো: “…যখন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম জিজ্ঞাসা করবে যে আমরা কথায় সংস্কার বেছে নিয়েছিলাম নাকি কাজে, তারা যেন এই বছরের রেকর্ডে উত্তর খুঁজে পায়: আমরা কাজেই সংস্কার বেছে নিয়েছি।”

এই “কাজে প্রমাণ” করার প্রত্যয়টিই এখন ডিজিটাল রূপান্তরের সাফল্যের চাবিকাঠি। এই সংগ্রাম সফটওয়্যার আপগ্রেড করার নয়, এটি একটি অস্বচ্ছ সংস্কৃতিকে উপড়ে ফেলার সংগ্রাম। এই সংগ্রামে প্রযুক্তি একটি হাতিয়ার মাত্র; মূল শক্তি আসতে হবে বিচার বিভাগের শীর্ষ পর্যায় থেকে আসা অদম্য রাজনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক ‘ইচ্ছা’ থেকে, যা স্বার্থান্বেষী মহলের সেই ‘অদৃশ্য দেয়াল’ ভেঙে দিতে সক্ষম।

মূল প্রতিবেদন: ৪৫ লক্ষ মামলার জট: আইনি সংস্কার কি পারবে ‘তারিখ’ সংস্কৃতি বদলাতে?

পার্শ্ব প্রতিবেদন: অস্বচ্ছতা দূর করতে সুপ্রিম কোর্টের ‘সার্ভিস রুলস’ অস্ত্র