ঢাকা : ভারত রপ্তানি বন্ধ করার পর আন্তর্জাতিক বাজারেও পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে।
একদিনের ব্যবধানেই আন্তর্জাতিক বাজারে পেঁয়াজের দাম টন প্রতি ৫০ থেকে ১০০ ডলার বেড়ে গেছে।
ভারত রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ার পর অনেক আমদানি কারক, মিয়ানমার, পাকিস্তান, মিশর এবং তুরস্কের সঙ্গে যোগাযোগ করে এর মধ্যেই এলসি খুলতে শুরু করেছেন।
চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর দিয়ে আজ মঙ্গলবার একদিনে প্রায় ১১ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতিপত্রের (আইপি) জন্য আবেদন করেছেন ব্যবসায়ীরা।
আর গত ১২ দিনে মোট ১৯ হাজার ৮৪৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির ঋণপত্র খোলা হয়েছে। চীন, মিয়ানমার, তুরস্ক, পাকিস্তান ও মিশর থেকে এসব পেঁয়াজ আমদানির জন্য আবেদন করা হয়েছে।
পেঁয়াজের আমদানিকারক হাজী হাফিজ মিয়া বলছেন, ভারত রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ার পর আমরা মিয়ানমার, তুরস্ক, মিশর, পাকিস্তানে যোগাযোগ করছি। কিন্তু সেখানেও গতকালের চেয়ে আজ দাম বেড়ে গেছে। ভারতের বাজার বন্ধ, তাই এসব দেশের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সবাই যোগাযোগ করছে। তারাও দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
তবে এসব দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির বড় সমস্যা হলো, জাহাজে করে এসব পেঁয়াজ দেশে আনতে ২০ দিন থেকে শুরু করে একমাস সময় লাগে।
এমনকি সীমান্ত বন্ধ থাকায় বাংলাদেশের আরেক প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের পেঁয়াজ আনতে হলেও সিঙ্গাপুরে ঘুরে আনতে হবে, যে কারণে তাতেও তিন সপ্তাহের মতো সময় লাগতে পারে।
গতকাল সোমবার খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৬০ টাকা দরে বিক্রি হলেও আজ মঙ্গলবার বিক্রি হয়েছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা দরে।
প্রসঙ্গত, গত বছর সেপ্টেম্বরের ২৯ তারিখে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ার পর বেসরকারি আমদানিকারকদের পাশাপাশি নিজেরাও পেঁয়াজ আমদানি করে সামাল দেয়ার চেষ্টা করেছিল সরকার। কিন্তু তারপরেও ৩০ টাকা থেকে পেঁয়াজের দাম ৩০০ টাকায় উঠে যাওয়া বন্ধ করা যায়নি।