শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

‘ভোক্তা ও উৎপাদনকারির স্বার্থ রক্ষা করেই পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত হবে’

প্রকাশিতঃ ৩ জানুয়ারী ২০২১ | ৬:৪৮ অপরাহ্ন


ঢাকা : ভোক্তা ও উৎপাদনকারির স্বার্থ রক্ষা করেই পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

তিনি বলেন,‘আগে এলসি (ঋণপত্র) করা পেঁয়াজগুলো এখন দেশে প্রবেশ করছে। এর বর্তমান আমদানি মূল্য পড়ছে প্রতি কেজি প্রায় ৩৯ টাকা। সকলের স্বার্থ রক্ষা করে নতুন আমদানির বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

এছাড়া দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজ আগামী মার্চ মাসে পুরোদমে বাজারে চলে আসবে বলে তিনি জানান।
রোববার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

বাজার স্থিতিশীল রাখতে গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন,বাজার স্থিতিশীল রাখাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। কোন অসাধু ব্যবসায়িকে সুযোগ নিতে দেয়া হবে না। অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।

তিনি আরও জানান, বর্তমানে দেশে ৮ থেকে ৯ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজের ঘাটতি রয়েছে। এই ঘাটতি পূরণ করে পেঁয়াজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে অনেক কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন,দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়ছে।আগামী তিন বছরে বাংলাদেশ পেঁয়াজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

টিপু মুনশি বলেন, ভারত তাদের সুবিধা মত পেঁয়াজ বাংলাদেশে রপ্তানি করে। আবার কখনও রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। তাই পেঁয়াজ আমদানি নির্ভর না থেকে দেশের মানুষের চাহিদা পূরণের জন্য সরকার পেয়াঁজ উৎপাদন বাড়াতে নানামুখি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে তিনি জানান।

তিনি বলেন, কৃষকদের উন্নতমানের বীজ ও প্রযুক্তি সরবরাহের পাশাপাশি ৪ থেকে ৫ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ হিমাগারে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এছাড়া ভরা মৌসুমে পেঁয়াজ পাউডার বানিয়ে বাজারজাত করা হবে।

এক প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন,বাজারে আলুর দাম কমে গেছে। আলুর দাম বেড়ে গেলে টিসিবি সাশ্রয়মূল্যে আলু বিক্রি শুরু করেছে। এখন মূল্য স্বাভাবিক হয়ে এসেছে।

তিনি বলেন,আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্য তেলের মূল্য বেড়েছে। আমদানি নির্ভর পণ্য হওয়ায় বাংলাদেশেও এর সাময়িক প্রভাব পড়ছে। তবে, অসৎ উপায়ে কেউ যেন মূল্য বাড়াতে না পারে, সে বিষয়ে সরকার সজাগ রয়েছে বলে তিনি জানান।

তিনি আরও বলেন, এ মহুর্তে দেশে চালের মজুত কিছুটা কম রয়েছে। সেজন্য চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে আমদানি শুরু হয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী মজুত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় চাল আমদানি করা হবে। প্রয়োজন হলে বেসরকারি পর্যায়েও চাল আমদানির সুযোগ দেয়া হবে বলে তিনি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন।