চট্টগ্রাম : বঙ্গবন্ধু সাহিত্য পরিষদ, চট্টগ্রাম জেলার উদ্যোগে শুক্রবার বিকেল ৪ টায় নগরীর থিয়েটার ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে জাতীয় চার নেতার স্মরণে আলোচনাসভা সংগঠনের আহ্বায়ক সালাহউদ্দিন লিটনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য, বাংলাদেশ শান্তি পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু সাহিত্য পরিষদ, চট্টগ্রাম জেলার নব-নির্বাচিত সভাপতি ডা. ফরিদা ইয়াসমিন সুমি। সংগঠনের সদস্য সচিব বোরহান উদ্দিন গিফারীর পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, বঙ্গবন্ধু সাহিত্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি মশিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক কবি আশরাফ হায়দার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি ও প্রাচ্য বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জিনবোধি ভিক্ষু, নারী নেত্রী হাসিনা জাফর, চসিক কাউন্সিলর ও সিডিএ’র বোর্ড সদস্য হাসান মুরাদ বিপ্লব, অধ্যাপক মাসুম চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুর রহিম, ছড়াকার ও শিশু সাহিত্যিক আ.ফ.ম মোদাচ্ছের আলী, সংগঠক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, ডা. জামাল উদ্দিন, এড. টিপু শীল জয় দেব, নোমান উল্লাহ বাহার, ডা. সাবরিনা শারমিন, চট্টগ্রাম আইন কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদুর রহমান মাসুদ, আইন কলেজ ছাত্র সংসদের জিএস শাহাদাত হোসেন, আসিফ ইকবাল, আমিরুন্নেছা জেরিন, স ম জিয়াউর রহমান, নাজমুল হুদা মারুপ, কবি সঞ্চয় কুমার দাশ, প্রকৌশলী টিকে সিকদার, শবনম ফেরদৌসী, কামাল হোসেন, গিয়াস উদ্দিন রায়হান আজভী, কামরুল আলম, নাঈম উদ্দিন, হানিফ হোসেন, আনন্দ মজুমদার প্রমুখ।
সভায় মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একজন ত্যাগী রাজনীতিবিদ ছিলেন। তিনি সাহিত্যচর্চায়ও পারদর্শী ছিলেন। আমাদের জাতীয় চার নেতা বঙ্গবন্ধুর প্রতি অবিচল আস্থাশীল ছিলেন। জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী ও এইচ এম কামরুজ্জামান প্রত্যেকেই নিজেদের জীবনকে উৎস্বর্গ করে দেশপ্রেম ও আদর্শের প্রতি অবিচল থাকা বর্তমান সময়ে নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপম দৃষ্টান্ত। জাতীয় চার নেতা সকল ধরনের লোভ-লালসা পরিহার করে বঙ্গবন্ধু ও দেশের মানুষের প্রতি প্রতিশ্রুতি রক্ষায় অনন্য ভূমিকা রাখা ইতিহাসে সমুজ্জ্বল অধ্যায়। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে নানাভাবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস প্রণয়ন এবং আমাদের জাতীয় চার নেতার সঠিক মূল্যায়ন জাতিকে এগিয়ে নিবে। রাজনীতিতে প্রত্যেকের প্রতিশ্রুতিশীল, দায়িত্ববান, ত্যাগী মনোভাব গুরুত্বপূর্ণ। রাজনীতি নেওয়ার জন্য নয়, দেওয়ার জন্য। দেশ ও মানুষের জন্য আমাদের উৎস্বর্গীত হতে হবে। শুধু রাজনীতি নয়, সাহিত্যচর্চা ও জ্ঞানার্জনও প্রয়োজন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ চলছে তার ধারাবাহিকতা ও ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নে প্রতিহিংসামুক্ত হয়ে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে একযোগে কাজ করে যেতে হবে।’