
ঢাকা : চীন ও জাপানে উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) এর সংক্রমণ। ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো লক্ষণ দেখা যাওয়া এই ভাইরাস নিয়ে বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের আশঙ্কা, ২০২৫ সালে করোনার মতো এই ভাইরাস মহামারী আকার ধারণ করতে পারে।
চীন ও জাপানের হাসপাতালগুলোতে ইতিমধ্যেই রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে করোনাকালীন সময়ের মতো হাসপাতালে ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। জাপানে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
এইচএমপিভি ভাইরাসে আক্রান্তদের জ্বর, নাক বন্ধ, কাশি ও শ্বাসকষ্টের মতো লক্ষণ দেখা দেয়। গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।
তবে বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এইচএমপিভি নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তাদের মতে, এই ভাইরাস বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরেই বিদ্যমান এবং এটি একটি সাধারণ ঠান্ডাজনিত রোগ।
জনস্বাস্থ্যবিদ ডা. লেলিন চৌধুরী জানিয়েছেন, ২০০০-২০০১ সালে বাংলাদেশে প্রথম এইচএমপিভি ভাইরাস শনাক্ত হয়। তিনি বলেন, “এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ে আতঙ্ক ছড়ানোর ন্যূনতম কোনো কারণ নেই।”
আইইডিসিআর এর উপদেষ্টা ড. মুশতাক হোসেন বলেন, এইচএমপিভি ভাইরাস নিউমোনিয়ার মতো হতে পারে, তবে নিউমোনিয়া নয়। তিনি আরও বলেন, “এই ভাইরাস আমাদের জন্য তেমন কোনো উদ্বেগের বিষয় না।”
এইচএমপিভি প্রতিরোধে করোনাকালীন সময়ের মতো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। মাস্ক ব্যবহার, সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, এবং আক্রান্ত ব্যক্তিদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ।