
চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ভালো প্রবৃদ্ধি হলেও সামনের দিনগুলো নিয়ে শঙ্কায় আছেন এ খাতের উদ্যোক্তারা। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক আরোপের হুমকি এবং মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতকে তারা বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে বাংলাদেশ ৩ হাজার ৬৫৬ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে। এর মধ্যে শীর্ষ ১০টি বাজারেই রপ্তানি হয়েছে ২ হাজার ৮১০ কোটি ডলার, যেখানে প্রবৃদ্ধি হয়েছে সাড়ে ১০ শতাংশ।
সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্রে এই সময়ে ৭০৯ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৭ শতাংশ বেশি। এছাড়া জার্মানি, যুক্তরাজ্য, স্পেন ও ফ্রান্সের মতো ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত প্রধান বাজারগুলোতেও রপ্তানি বেড়েছে।
তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র পরিচালক শেখ এইচ এম মোস্তাফিজ বলেন, “বৈশ্বিক চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের রপ্তানিতে স্বাভাবিক প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। দিন দিন আমাদের শিল্পের সক্ষমতা বাড়ছে এবং চীন থেকেও ক্রয়াদেশ স্থানান্তরিত হয়ে আসছে।”
তবে রপ্তানিকারকরা বলছেন, দেশের ভেতরে গ্যাস-বিদ্যুতের সংকট, ব্যাংকিং খাতের অস্থিরতা এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক ও মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা এই প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ’র সাবেক সভাপতি ফজলুল হক বলেন, “ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক স্থগিতাদেশের সময়সীমা শেষ হলে কী হবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে। আবার মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতায় জ্বালানি তেলের দাম বাড়লে তৈরি পোশাকের চাহিদাও কমে যেতে পারে।”
তিনি মনে করেন, বৈশ্বিক সমস্যার সমাধান হাতে না থাকলেও গ্যাস-বিদ্যুতের সংকট দূর করা ও ব্যাংক খাতে স্থিতিশীলতা ফেরানো গেলে পোশাকের রপ্তানি আরও বাড়ানো সম্ভব।