বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২

বাংলাদেশের মোট রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল

রিজার্ভে স্বস্তি, জুনের শেষে ৩২ বিলিয়ন ডলার হওয়ার আশা
একুশে প্রতিবেদক | প্রকাশিতঃ ২৮ জুন ২০২৫ | ৯:৩৮ অপরাহ্ন


আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দুই কিস্তির ঋণ এবং প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বাড়ায় বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার মোট রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। গত ২৬ জুন আইএমএফের ১৩৪ কোটি (১.৩৪ বিলিয়ন) ডলার যোগ হওয়ার পর বৃহস্পতিবার দিন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩০ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলারে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম–৬ অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমাণ ২৫ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলার এবং ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলারে, যা দিয়ে তিন মাসের বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে প্রবাসীরা বৈধ পথে আয় পাঠানো বাড়িয়েছেন এবং রপ্তানি আয়েও ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এছাড়া, গত ১০ মাস ধরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি না করায় এবং বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীর কাছ থেকে বাজেট সহায়তা ও ঋণ আসায় রিজার্ভের পরিমাণ ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।

চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরে গত সপ্তাহ পর্যন্ত প্রবাসী আয় এসেছে ২৯ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার, যা পুরো ২০২৩–২৪ অর্থবছরের (২৩.৯১ বিলিয়ন ডলার) চেয়ে প্রায় ছয় বিলিয়ন ডলার বেশি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার জাপানের ৪২ কোটি ডলার ঋণের অর্থ রিজার্ভে যুক্ত হয়েছে। এর বাইরে চলতি মাসের মধ্যেই বিশ্বব্যাংক, এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক (এআইআইবি), জাপান ও ওপেক ফান্ড থেকে আরও ১০০ কোটি ডলার এবং আইএমএফ থেকে আরও ৯০ কোটি ডলার ঋণ আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

কর্মকর্তারা মনে করছেন, এসব অর্থ যোগ হলে চলতি মাস শেষেই দেশের মোট রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে পারে।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৩১ জুলাই সাবেক সরকারের শেষ সময়ে দেশের মোট রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ৯২ বিলিয়ন ডলার এবং বিপিএম–৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার।