বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২

কেন চট্টগ্রামের এশিয়ান ইউনিভার্সিটিতে আপত্তি ফিলিস্তিনের?

শিক্ষার নামে জাতীয় মর্যাদা বিকিয়ে দেব না: ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত
একুশে প্রতিবেদক | প্রকাশিতঃ ১৪ অগাস্ট ২০২৫ | ১০:৩৯ অপরাহ্ন


চট্টগ্রামের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের (এইউডাব্লিউ) সঙ্গে ইসরায়েল-সংশ্লিষ্টতা এবং ফিলিস্তিনি স্বার্থবিরোধী কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ রামাদান। এসব কারণে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা থেকে ছাত্রীদের এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তির মাধ্যমে পাঠানোর সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে ফিলিস্তিন দূতাবাস।

বৃহস্পতিবার বিকেলে দূতাবাসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই বিরোধিতার কারণ ব্যাখ্যা করেন এবং সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনকে ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে আখ্যা দেন। সম্প্রতি জানা যায়, গাজা উপত্যকার প্রায় ২০০ ছাত্রীকে এইউডাব্লিউতে বৃত্তি দেওয়া হলেও ফিলিস্তিন দূতাবাসের আপত্তির কারণে তাদের আগমনী ভিসা বাতিল করা হয়।

রাষ্ট্রদূত রামাদান অভিযোগ করেন, এইউডাব্লিউর পরিচালনা পর্ষদ ও দাতাদের মধ্যে থাকা ‘বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন’, ‘বায়ার এজি’ এবং ‘ডাইরেক্ট রিলিফ’-এর মতো প্রতিষ্ঠানের ইসরায়েল-সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা চ্যান্সেলর ও যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের স্ত্রী চেরি ব্লেয়ারের বিরুদ্ধেও ফিলিস্তিনের সার্বভৌমত্ববিরোধী প্রকল্পে যুক্ত থাকার অভিযোগ তোলেন।

শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টিও একটি বড় উদ্বেগ উল্লেখ করে তিনি বলেন, অতীতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আফগানিস্তান ও লাওসের দুই ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা দূতাবাসকে উদ্বিগ্ন করেছে।

রাষ্ট্রদূত আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রসহ পাঁচটি পশ্চিমা দেশ দূতাবাসকে এই বৃত্তির অনুমোদন দিতে চাপ দিলেও তারা তা প্রত্যাখ্যান করেছে, কারণ “শিক্ষার সুযোগের নামে জাতীয় মর্যাদা বা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিক্রির জন্য নয়।”

ইউসুফ রামাদান স্পষ্ট করে বলেন, তাদের আপত্তি শুধু এইউডাব্লিউর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য এবং বাংলাদেশের অন্য যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণে কোনো বাধা নেই। তিনি জানান, এইউডাব্লিউর জন্য নির্বাচিত ছাত্রীরা এখন বৃত্তি নিয়ে বাংলাদেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে আগ্রহী।