
বঙ্গোপসাগরে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবেলায় ‘কোয়াড পোর্টস ফর ফিউচার’ কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশে একটি বন্দর উন্নয়নে আগ্রহী হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ভারতের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিক টাইমস বলছে, এ নিয়ে চলতি সপ্তাহে ঢাকায় সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে একটি প্রাথমিক বৈঠকও করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে মার্কিন এই পদক্ষেপে ভারত ‘খুব একটা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ নাও করতে পারে’ বলে প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
পত্রিকাটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই অঞ্চলে চীনের আধিপত্যের সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষা করাই আমেরিকার এই পদক্ষেপের মূল লক্ষ্য। তবে যুক্তরাষ্ট্র বন্দর স্থাপনের কোনো চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেওয়ার আগে সবদিক ভালোভাবে বিবেচনা করবে।
বন্দর নিয়ে ভূ-রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা
ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বঙ্গোপসাগরের বন্দর ব্যবস্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্র নতুনভাবে আগ্রহ দেখাচ্ছে, যেখানে আগে থেকেই চীন, জাপান ও ভারত সক্রিয় রয়েছে।
জাপান বর্তমানে কক্সবাজারের মাতারবাড়িতে একটি গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ করছে, যার লক্ষ্য এটিকে একটি প্রধান আঞ্চলিক বাণিজ্যিক হাবে পরিণত করা।
অন্যদিকে, শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে ভারত বাংলাদেশের মংলা বন্দরে একটি টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব পায় এবং ২০১৮ সাল থেকে চট্টগ্রাম ও মংলা উভয় বন্দরই ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোর জন্য ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহারের পূর্ণ সুযোগ পেয়ে আসছে। ভারত ভবিষ্যতে পাবলিক-প্রাইভেট-পার্টনারশিপ মডেলে বাংলাদেশে আরও একটি বন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা করছে বলেও জানা গেছে।
এই প্রেক্ষাপটে, কোয়াড জোটের অংশীদার হওয়া সত্ত্বেও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একক পদক্ষেপে এই অঞ্চলে ভারতের নিজস্ব কৌশলগত প্রভাব খর্ব হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।